করোনার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের দামের উপর, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, নতুন খবর

করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে আমদানিকৃত পন্যের দাম বেড়েছে চট্টগ্রামে তার মধ্যে রসুন ও আদার উল্লেখ যোগ্য । একই সঙ্গে বেড়েছে পেঁয়াজ, গুঁড়োদুধ, চাল, ডাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম। শুক্রবার নগরের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব নিত্যপণ্যের দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে রসুন ও আদা আমদানি কমেছে। তা ছাড়া দেশি রসুনের মৌসুমও শেষ। নতুন দেশি রসুন এবং আমদানি করা রসুনের সরবরাহ কম থাকায় এ পণ্য দুটির দাম বাড়ছে। রসুন পাইকারি বাজারে ১৮০ টাকা, খুচরা বাজারে ১৯৫-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চীনা আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।
পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা আর খুচরা বাজারে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ভারতের নাসিক পেঁয়াজ ১২৫ টাকা, পাকিস্তানের পেঁয়াজ ১১০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মোটা চাল ৩০ টাকা, মিনিকেট চাল ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেটজাত ৫০০ গ্রাম গুঁড়ো দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। অপরদিকে শীতকালীন সবজির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও বেড়েছে মাছের দাম। অপরিবর্তিত আছে মাংসের দাম। রেয়াজউদ্দিন বাজারে ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, লাউ ২০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রুই ২২০ টাকা, কাতলা ২৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের নাভিশ্বাস বেড়েছে। কাজীর দেউড়ী বাজারে আসা কর্মজীবী সাইফুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। মাছের দামও বেশি রাখা হচ্ছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার এখন অস্থির। মানুষকে জিম্মি করে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কোনো অজুহাত পেলেই আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাজার মনিটরিং কমিটির গাফেলতিতে এই সিন্ডিকেট সুযোগ নিচ্ছে।
নতুন খবর / টি.কে