এক দশক আগে রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি বাসা থেকে ৫ বস্তা দেশি–বিদেশি মুদ্রা ও ৬১ কেজি সোনা উদ্ধারের মামলায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনসহ ১১ আসামি খালাস পেয়েছেন। তবে শেখ মোহাম্মদ আলী নামের এক আসামির ২ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঢাকার ২১ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কুদরত–এ–ইলাহী চৌধুরী গত সোমবার এ রায় দেন।
রায়ে আদালত বলেছেন, ৬১ কেজি সোনা চোরাচালান মামলার প্রধান অভিযুক্ত এস কে মোহাম্মদ আলী ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক।
রায়ে আদালত আরও বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা কিসের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করলেন বা তাঁরা কীভাবে আসামি অভিযুক্ত শেখ মোহাম্মদ আলীকে চোরাচালানে সহায়তা করলেন, এর কোনো ব্যাখ্যা অভিযোগপত্রে দেওয়া হয়নি। এসব আসামিদের কি বাংলাদেশের বাইরে আসা–যাওয়া ছিল? বা ঘটনার ঠিক আগে তাঁদের কেউ কি বাইরে থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন, সে ধরনের কোনো বক্তব্য অভযোগপত্রে নেই।
রায়ে বিচারক উল্লেখ করেন, এস কে মোহাম্মদ আলীর ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামিদের নাম থাকা ছাড়া আর কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি। কাজেই অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম না হওয়ায় রিয়াজসহ বাকি আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।
রিয়াজ উদ্দিন ছাড়া খালাস পাওয়া ১১ আসামির মধ্যে আছেন মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালেহ আহম্মেদ, এস এম নুরুল ইসলাম, আবু আহম্মেদ, নবী নেওয়াজ খান, ওমর ফারুক, আলী হোসেন মুন্না, বাবু, উজ্জ্বল ঘোষ ও পংকজ সাহা।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. শহীদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলীর কাছ থেকে ৬১ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়, সেটি প্রমাণিত হয়েছে। তবে সহযোগী হিসেবে মোহাম্মদ আলী আসামি রিয়াজ উদ্দিনসহ বাকিদের নাম বললেও তাঁদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে দুর্বলতা ছিল, সেটি অস্বীকার করার উপায় নেই।